মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম,
শাহিন নবাব (বিশেষ প্রতিনিধি): কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের রেরুয়াইল গ্রামের দরিদ্র রিক্সাচালক এখন জেলহাজতে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি গত ২৬/০৪/২০১৬ইং তারিখে বেলা আনুমানিক ১১.৪০ মিনিট শহরের ঈশাখা ক্লিনিকের সামনের রাস্তার ধার থেকে ইয়াবা জাতীয় ট্যাবলেট বহন করছিলেন। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় পাঠিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা নং ৪৫, তাং ২৬/০৪/২০১৬ইং ধারা ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (খ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ১নং রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র, বেরুয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাকতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রায় ১০০৪ জন বাসিন্দাদের গণস্বাক্ষর বিবেচনা করে প্রতীয়মান হচ্ছে যে সম্পূর্ণ পারিবারিক কলহের জের হিসেবে মোঃ আবু হানিফা উরফে মিলনকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আনুমানিক ৪/৫ বছর পূর্বে প্রতিবেশী সম্পর্কে মোঃ আবু হানিফার চাচা মোঃ ধনু মিয়ার সাথে বাড়ীঘর এবং পুকুর দখল নিয়ে কয়েকবার দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়। কয়েকবার দেন দরবার করেও এর কোন সুরাহা না হওয়ায় মোঃ আবু হানিফার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই গোলাম মোস্তফা পুলিশ সুপার বরাবরে গত ২৭/১০/২০১৫ইং তারিখে পরিবার নিরাপত্তার জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানান।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবার নতুন উদ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে রিক্সা চালিয়ে দিনানিপাত করা মোঃ আবু হানিফা উরফে মিলনকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে আসামী হিসাবে থানায় ধরিয়ে দেয়া হল। পরবর্তীতে ২১/০৫/২০১৬ ইং তারিখে পুলিশ সুপার বরাবর আবার আবেদন করা হয়। যা বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। বর্তমানে ৩ জন সন্তান নিয়ে আবু হানিফার পরিবার অসহায় অবস্থায় এবং আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ের আশু সমাধান প্রত্যাশা করছেন আবু হানিফার পরিবার।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৬-০৬-২০১৬ইং/ অর্থ/ শাহিন নবাব