নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন সন্নিকটে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নতুন ইভিএম কেনা এবং মেরামতের জন্য যথেষ্ট অর্থ পাওয়া যায়নি। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করতে পারছি না। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে নেওয়া হবে।
রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে গোসারহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে 'গোসাইরহাট পৌরসভা নির্বাচন ২০২৩ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, পৌরসভা নির্বাচন হোক আর জাতীয় নির্বাচন হোক। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী (স্কুলের শিক্ষক, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী, দারোয়ান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা) যেই পদধারী হোন না কেন, প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। যদি কেউ আইন অমান্য করেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইভিএমে ভোট চুরি বা জালিয়াতির বিষয়ে এক কমিশনার প্রার্থীর প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমে কোনোরকম ছলচাতুরি, জাল ভোট দেওয়া, ভোট বাড়ানো বা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। ইভিএম ছিনতাই করে নিয়ে গেলেও কিছু আসে যায় না। চিন্তার কিছু নেই, ভোট নিরাপদে থাকবে।
প্রসঙ্গত, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট পৌরসভা গঠিত হয় ২০০৩ সালে। পরে সীমানা নিয়ে জটিলতায় আর নির্বাচন হয়নি। সেই জটিলতা দূর হওয়ায় আগামী ১৭ জুলাই প্রথমবারের মতো ইভিএমে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার সাইফুল হক, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জাহিদ হোসেন, গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী দিন কবির, উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সুজন দাশ গুপ্তসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।