স্ত্রীকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও অন্য নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি পেয়েছেন সিনিয়র সহকারী সচিব মো. এরশাদ উদ্দিন। তিনি বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ শীর্ষক শাস্তি পেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মো. এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ও বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে 'অসদাচরণ'-এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। এরপর অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়।
তিনি অভিযোগের জবাব দাখিল করেন ও ব্যক্তিগত শুনানি চান এবং সে মোতাবেক ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয়।
শুনানি শেষে অভিযোগের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় বিধিমালা মোতাবেক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, বিস্তারিত তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে মো. এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিধিমালা মোতাবেক আনীত 'অসদাচরণ'-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে- মর্মে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন। অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী, ব্যক্তিগত শুনানিতে দেয়া উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন এবং নথির অন্যান্য কাগজপত্র ও প্রমাণক পর্যালোচনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী 'অসদাচরণ'-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তাকে বিধিমালা মোতাবেক 'অসদাচরণ'-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে একই বিধি মোতাবেক আগামী দুই বছরের জন্য 'বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ' অর্থাৎ ৬ষ্ঠ গ্রেডের ৩৫৫০০-৬৭০১০/-টাকা বেতন স্কেলের নিম্নতম ধাপ ৩৫৫০০/-টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণ-সূচক 'লঘুদণ্ড' দেওয়া হল। এ দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন ধাপে ফিরবেন। তবে তিনি বকেয়া কোনো আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন না বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।