ফরিদপুরে আবদুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কুন্ডুরামদিয়া গ্রামের এমদাদুল শেখ (৪৪), মিরাজ শেখ (৩২), এরশাদ শিকদার (৩৪) ও জব্বার শিকদার (৪৯)।
এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত থাকায় মো.ইলিয়াস শেখ (৩৭) নামের আরেক ব্যক্তিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওয়াব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কুন্ডুরামদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের প্রতিবেশী আলী শেখের বাড়ির উত্তর পাশের জমিতে কেউ পায়খানা করে রেখে যায়। এ ঘটনার জন্য আলী শেখ আবদুল কুদ্দুসের ভাজিতা সুজন শেখকে (৪৪) সন্দেহ করে গালিগালাজ করে। এরপর সকাল ৯টার দিকে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আলী শেখের পক্ষের একজনের লাঠির আঘাতে আবদুল কুদ্দুস মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ফরিদপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার সাভারে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন বোয়ালমারী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম। আদালতে দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে আজ রোববার আদালত এই রায় দেন।