ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে অস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টার সময় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন মমতা। তিনি ধর্মতলার কাছে 'শহীদ দিবস' সমাবেশস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে থেকে এক সশস্ত্র ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছে ভোজালি-সহ একাধিক অস্ত্র পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কালো কোট ও টাই পরা ওই ব্যক্তির নাম শেখ নূর আলম। তিনি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পুলিশের বোর্ড লাগানো একটি গাড়ি নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির খুব কাছে অপেক্ষা করছিল সে। আটক ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আইবি-র আই কার্ড পাওয়া গেছে। বিএসএফ-এর একটি কার্ডও তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। এই দুইটি কার্ড ছাড়াও তার কাছ থেকে আরও বেশ কিছু সংস্থার কার্ড মিলেছে। পুলিশের সন্দেহ, সবগুলো কার্ডই ভুয়া। ওই ব্যক্তিকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে গাড়ি নিয়ে কীভাবে পৌঁছে গেল ওই ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য এই দিন সকাল থেকে বহু ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি দেখতে যাচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে সে জন্য আলাদা নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই গাড়িটি ঘিরে সন্দেহ হওয়ার কারণেই সেখানে তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে, ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা যখন ব্যাহত হয়, তখন বোঝা যায়, সার্বিকভাবে রাজ্যের কী অবস্থা। কাজে গাফিলতির জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং কালীঘাট থানার ওসি-কে অপসারণ করা উচিত।