পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পলাতক আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে গ্রহণের শুনানিতে এ আদেশ দেন।
এদিকে বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তার বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।
চার্জশিটে সকল আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে বাবুল কারাগারে এবং তার বাবা ও ভাই জামিনে ছিলেন।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে ইলিয়াস ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বাবুল, তার বাবা ও ভাইয়ের যোগসাজশে ইলিয়াস এ ধরনের তথ্য প্রচার করেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাটির প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় ৬ জুন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিনের আদালতে মাহমুদা হত্যা মামলার বিচার চলছে।