লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলায় আরও ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।’
নিহত মামুনুর রশিদ চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ মে রাতে সদর উপজেলা উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মোটরসাইকেলে সঙ্গী ওমর ফারুককে নিয়ে দেলিয়াই বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন।
পথে আমানি লক্ষ্মীপুর এলাকায় পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে। এ সময় সঙ্গী ওমর ফারুক পালাতে পারলেও সন্ত্রাসীদের গুলিতে মামুনুর রশিদ নিহত হন। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত আজ এ রায় দিলেন।