আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সম্প্রতি তিন দফায় ২৮ জেলা প্রশাসক (ডিসি) পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের কী প্রায় অর্ধেক জেলার ডিসিকে পরিবর্তন করা হলো, তার কারণ জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামনের দিনে ‘কঠিন পরিস্থিতি’ সামাল দিতে পারবে না—এমন কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসন থেকে তুলে আনা হয়েছে।
ডিসিদের রদবদল নিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে দু-একজন ফেইল করে, এদের সংখ্যা কিন্তু কম। তারা ওখানে (ডিসি) গিয়ে অ্যাডজাস্ট করতে পারছেন না। অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমাদের অনেক সময় বিব্রতও করে। সেসমস্ত ক্ষেত্রে আমরা তুলে নিয়েছি, যাতে করে আরও ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশেনের তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং আরও বাড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছি যাতে করে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করে আমাদের কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে কাজ করতে পারে এবং একই সাথে কিন্তু আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে চালিয়ে নিতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তাকে ডিসি হিসেবে পদায়নের পর তুলে নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন দেখে, তারা বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে। একটি মানুষকে যখন ডেস্কে কাজ করতে দেখেন, তার এক ধরনের পারফরমেন্স থাকে। মাঠের কাজের ধরন কিন্তু ভিন্ন রকম। যাদের তুলে নেওয়া হয়েছে তাদের ২০ জন ছিল ২২ ব্যাচের। আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই তারা যুগ্ম সচিব হয়ে যাবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে কিছু অভিযোগ ছিল, জনমনে বেশকিছু অস্বস্তি আছে, সেজন্য আমরা তুলে নিয়েছি। দু-একজনকে তুলেছি, মনে হয়েছে তারা ডেস্কে যেভাবে কাজ করেছে, ওখানে গিয়ে সেভাবে পারছে না।’