মুক্তিযোদ্ধেরকণ্ঠ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব ছিল না। তাদের অধিকারের জন্যই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে বিভক্ত করার প্রয়োজন ছিল।
রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (উত্তর) ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) আয়োজিত ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব ছিল না। আমাদের অধিকারের জন্যই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে বিভক্ত করার প্রয়োজন ছিল। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে এই বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, বার বার গ্রেপ্তার হয়েছেন, দীর্ঘ জীবন কারান্তরে কাটিয়েছেন। গ্রেপ্তার, জেল-জুলুম, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে দুঃসাহসিক নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর মহাত্যাগ ও আন্দোলনের ফসলই আজকের বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তির সংগ্রামে তদানিন্তন সমগ্র পূর্ববাংলা ঘুরে বেরিয়েছেন এবং সভা সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী সভায় বঙ্গবন্ধু ছয় দফা পেশ করেছিলেন। কিন্তু সেদিন পাকিস্তানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছয় দফাকে বিষয় নির্ধারণীতে অন্তর্ভুক্ত করেনি। বঙ্গবন্ধু বাধ্য হয়ে সম্মেলন ত্যাগ করেন, তিনি ঢাকার পুরনো বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সামনে প্রথম ছয় দফা উত্থাপন করেন। কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, যে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়, সেই চ্যালেঞ্জে তারাই হারবে। আমরা জিতব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় হবেই হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আপনি বলেছেন রাজনীতিকদের জন্য দেশে রাজনীতি করার পরিবেশ নেই বলেই হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তাহলে কি দেশের জনগণ ভাববে, রাজনীতি করার পরিবেশের ধুয়া তুলে আপনারা এসব হত্যাকাণ্ডে মদদ দিচ্ছেন? তাহলে কি আপনারা এসব হত্যার দায় স্বীকার করে নিচ্ছেন?
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (উত্তর) শাখার সভাপতি এ কে এম রহমতউল্ল্যাহর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) শাখার সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
মুক্তিযোদ্ধেরকণ্ঠ ডটকম/ ০৭-০৬-২০১৬ ইং/ মোঃ হাছিবুর রহমান