muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

মামলার ভয় দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা আদায়, অবশেষে ধরা ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা

মামলার ভয় দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা আদায়, অবশেষে ধরা ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা

ঢাকার সাভারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আসামি বলে ভয় দেখিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে চার লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের ভুয়া এক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তার নাম হারুন অর রশিদ (৫৩)। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার সঠিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

আজ সোমবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান ঢাকা জেলার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা।

সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম জানান, সাভারের ভরারী এলাকার আসলামের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হয়েছে মর্মে ভয়ভীতি দেখান হারুন। নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের উপপরদির্শক (এসআই) হিসেবে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিনিময়ে নানা দফায় নগদ ও চেক মারফত নেন চার লাখ টাকা।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত ১৭ জুলাই দুপুরে হারুন ও তার সহযোগীরা ভরারী এলাকার বাসিন্দা আসলামের বাসায় গিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে জানান, তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রয়েছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে। এক পর্যায়ে হারুন ও তার সহযোগীরা ওই পরোয়ানার ভিত্তিতে আসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য টানাটানি শুরু করে। এ সময় হারুন চার লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান।

পরে আসলাম ব্রাক ব্যাংকের হেমায়েতপুর শাখায় গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে দুটি চেকের বিপরীতে তিন লাখ টাকা তুলে হারুনকে দেন। অবশিষ্ট টাকার জন্য আরও দুটি চেক নেন আসামিরা। এভাবে বিভিন্ন সময়ে চাপ দিয়ে পর্যায়ক্রমে চার লাখ টাকা নেওয়ার পর গত ৫ আগস্ট হারুন আসলামের বাসায় গিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

তখন হারুনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আসলাম নিজেই চলে যান সাভার মডেল থানায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে মামলা তো দূরের কথা, কোনো জিডিও নেই। এমনকি হারুন অর রশিদ নামের কোনো পুলিশ সদস্য সাভার মডেল থানায় কর্মরত নেই।

বিষয়টি জানার পর আসলাম ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানালে ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) রাসেল মোল্লার নেতৃত্বে পুলিশ তাকে আটক করে এবং একটি চেক জব্দ করে।

এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে হারুনকে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

Tags: