কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে বিলকিস আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ৬ আগস্ট, রোববার দুপুরে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামছুল আলম সিদ্দিকী ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম রাসেল।
নিহত বিলকিস আক্তার ইন্দাচুল্লি গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী। অভিযুক্ত নুরে আলম একই গ্রামের মরছব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঘাতক নূরে আলম বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সাপ্লায়ের (শ্রমিক সর্দার) কাজ করে। সেই প্রেক্ষিতে নিহত বিলকিস আক্তারের স্বামী আঃ করিমকে ৫০ হাজার টাকা দাদন দিয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করায় আঃ করিমকে ধাদনের টাকা ফেরত অব্যহত তাগিদ দেয় ঘাতক নূরে আলম। ঘটনার দিন আঃ করিম নোয়াখালীতে একটি ইটভাটায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার খবরে টাকা চাইতে যায় নুরে আলম। বাড়িতে আব্দুল করিমকে না পেয়ে বিলকিস আক্তারের সঙ্গে তর্কে জড়ায় নূরে আলম। এক পর্যায়ে বিলকিস আক্তারকে বাড়ি থেকে বের করে উপর্যপোরি কিল-ঘুষি দিয়ে গুরুতর আহত করেন আলম। প্রতিবেশীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিলকিসকে প্রথমে মরিচ খালি বাজারে এবং পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত হাজির হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।