প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরীক্ষা বন্ধ হলেও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন সভার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা না থাকলেও ভিন্ন আঙ্গিকে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। তবে বৃত্তি প্রদানে কী কী মানদণ্ড থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত এটুকুই জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০০৮ সালে। এরপর ২০০৯ সালে পিইসি পরীক্ষা চালু হয়। এই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হতো। এরপর পিইসি পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণার ১৩ বছর পর ২০২২ সালে আবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল।
মূলত পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যারা ২৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেত তারাই এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোচিংমুখী হয়ে পড়ে। তাদের কোচিং নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।