কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৭ সালে স্কুল ছাত্র রমজান আলীকে (৮) হত্যার দায়ে আজহারুল ইসলাম রিপন ও আইয়ুব আলী নামের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (১৩ আগস্ট ) বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর ভূইয়া বাড়ির মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. আজহারুল ইসলাম রিপন (পলাতক) ও একই জেলার বুড়িচং উপজেলার মৃত সৈয়দ আব্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী।
মামলার বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট মফিজ বলেন, বুড়িচং উপজেলার হাবিল মিয়ার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল একই এলাকার আলী গংদের সঙ্গে। ২০০৭ সালের ১ জুলাই সকাল ১০টা দিকে হাবিলের ছেলে রমজান আলী খেলতে গিয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় এলাকায় মাইকিং করা হয়। নিখোঁজের পরদিন হাবিলের ছেলের মরদেহ ক্যান্টনমেন্ট পারহাউজে পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রমজানের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় হাবিল মিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একই গ্রামের আইয়ুব আলী ও মাসুমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুড়িচং থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার দাস ও আইয়ুব খান তদন্তে নেমে আজহারুল ইসলাম রিপনকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় আইয়ুব আলীকে।
২০০৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলাটি বিচারে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেয় আদালত। মামলার অপর দুই আসামি রনি ও মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আইয়ুব আলীসহ অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি আজহারুল ইসলাম রিপন পলাতক রয়েছেন।