কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য নারী শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক পলাতক আসামি মো. নুর আলম (২৯) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। নিহত বিলকিস বেগম (৪০) ওই গ্রামে আব্দুল করিমের স্ত্রী।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাত পৌনে ২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা।
র্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৬ আগস্ট দুপুরে কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুর আলম দাদনের টাকার জন্য ঘর থেকে ধরে এনে প্রকাশ্যে রাস্তায় বিলকিস বেগম নামের একজন ইটখোলা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় নিহত বিলকিস বেগমের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরে এক নম্বর আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে দুই নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান।
নুর আলমকে ধরতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এছাড়া আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান ঢাকায় নিশ্চিত হওয়া যায়।
এরপর র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম.এম. সবুজ রানার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা জানান, আসামি মো. নুর আলমের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।