যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনী ফল পাল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে জর্জিয়ার একটি আদালত। এই অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ট্রাম্পসহ মোট ১৯ জনকে এ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন জর্জিয়ার আদালত। রাজ্যের ফুলটন কাউন্টির বিভাগীয় অ্যাটর্নি ফানি উইলস ২০২১ সাল থেকে জর্জিয়ায় ‘ট্রাম্পের ফলাফল পাল্টে’ দেওয়ার প্রচেষ্টার তদন্ত করছিলেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর অ্যাটর্নি ফানি উইলস জানিয়েছেন, ট্রাম্পসহ বাকি ১৮ বিবাদীকে আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তিনি বলেছেন, ‘অভিযুক্তর পরবর্তী অংশ হিসেবে, জর্জিয়ার সাধারণ আইন অনুযায়ী, বিচারকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আমি বিবাদীদের আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ঐচ্ছিকভাবে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিচ্ছি।’
এই অ্যাটর্নি আরও জানিয়েছেন, জর্জিয়ার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে কখন ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে সেটি বিচারকরা ঠিক করবেন। কিন্তু তার দপ্তর পরামর্শ দেবে, যেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই বিচার শুরু হয়।
এদিকে জর্জিয়ায় অভিযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব মিলিয়ে ৪টি অপরাধমূলক অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন।
জর্জিয়ায় ট্রাম্পসহ অন্যান্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১১টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জালিয়াতি এবং তাণ্ডবের অভিযোগ। এটি মূলত সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে বিচার করতে ব্যবহার করা হয়।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটির সূত্রপাত ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি। ওইদিন জর্জিয়ার প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্র্যাড র্যাফেনসপারগারকে ফোন করে রাজ্যে নিজের পরাজয় ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে বলেন ট্রাম্প। কিন্তু ব্র্যাড তার এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
এর চারদিন পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের অনুসারীরা ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করে বসেন। ওইদিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সিনেটের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে ট্রাম্প জর্জিয়ায় কোনো ধরনের অপরাধ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অ্যাটর্নি উইলিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছিল। উইলিসি জো বাইডেন প্রশাসন মনোনীতি অ্যাটর্নি।