muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

বাংলাদেশের মানুষ কী চায় সেটা নিশ্চয়ই ভারত দেখবে, আশা ফখরুলের

বাংলাদেশের মানুষ কী চায় সেটা নিশ্চয়ই ভারত দেখবে, আশা ফখরুলের

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের কূটনৈতিকের বার্তা সত্যি হলে সেটি দুর্ভাগ্যজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের কূটনৈতিক বার্তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। ভারতের মতো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে এটা আশা করা যায় না। দেশের মানুষ কী চায় সেটা নিশ্চয়ই ভারত দেখবে।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মসূচি করে স্বেচ্ছাসেবক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) আশা করব, ভারত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেবে। এ দেশে সত্যিকার অর্থে সব দলের অংশগ্রহণে সবার সদিচ্ছায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থন করবে। আজকে ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। সেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য এবং এই অঞ্চলের জন্য শুভ হবে না বলে মনে করি।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। দেশে কখনই মৌলবাদের উত্থানের কোনো সম্ভাবনা নাই। কখনই ছিল না।

এই সরকার বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে গণতন্ত্রতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, সেই স্বপ্ন এই লুটেরা, ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার গুলোকে হরণ করে নিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, সংবাদপত্রে স্বাধীনতা হরণ করেছে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা ব্যবহার করছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের সব জনগণ এবং সব দলগুলো আজ এক দফা দাবিতে সরকারের পদত্যাগ সংসদ বিলুপ্ত করা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নতুন পার্লামেন্ট গঠনের শপথ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে রাজপথে তাদের আন্দোলন বেগবান করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় যে নেতা যিনি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর থেকে এই দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে সারা দেশকে জাগিয়ে তুলেছেন, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছেন, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ফখরুদ্দিন মহিউদ্দিনের সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিল তাদের বিরুদ্ধে নিরব সংগ্রাম করেছিল। তারপরে আজকের এই আওয়ামী লীগ সরকার, অবৈধ সরকার যারা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা মিথ্যে মামলা দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর যাবত দেশনেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। এখন হাসপাতালে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ফখরুল বলেন, ‘এ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে এবং এখন বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ এক হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল এক হয়েছে তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য। তারা যে লড়াই শুরু করেছে নিশ্চয়ই জয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফাত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tags: