সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের শিক্ষার মান সবচেয়ে ভালো এবং সিলেট বিভাগ সবচেয়ে পিছিয়ে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ২০২২ এর জাতীয় প্রচারণা কৌশল শীর্ষক এক কর্মশালায় এই জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শনিবার কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অফ এডুকেশন দীপা শংকর, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ডেপুটি টিম লিডার মো. গোলাম কিবরিয়া।
কর্মশালায় দেয়া বক্তব্যে সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে শিশুবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলাধুলার জায়গা রাখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”
সচিব বলেন, “আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও নিয়ম অনুযায়ী এই জরিপটি পরিচালিত হয়। প্রতি দুই বছর অন্তর জরিপটি করার কথা ছিল, কিন্তু ২০১৭ সালের পর এটি ২০২২ সালে করা হয়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এটি সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালে আবার জরিপটি করা হবে। এই জরিপটি সাহিত্য (বাংলা) ও গণিত নিয়ে। আন্তর্জাতিকভাবে, এই দুটি বিষয়কে বিজ্ঞানের সাথেও যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশেও এটি করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি বলেন, “এই সমীক্ষার ফলাফল ও মন্তব্য জাতীয় স্তরে উপস্থাপন করা হবে। ভবিষ্যতে আরও টেকসই পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। এটিই আমরা আমাদের ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রায় সম্পন্ন করতে চাই। আমাদের রাষ্ট্র স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে চায়।”
কর্মশালায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রমে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের পরামর্শদাতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার শিক্ষা বিভাগের ৯০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।