muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

ফরিদপুরে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরের নগরকান্দায় চার বছর আগে এক মসজিদে চাচা ও ভাতিজাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এর বিচারক জেসমিন আরার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার জীবিত ১৫ আসামির মধ্যে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

আসামিদের মধ্যে হানিফ ওরফে হৃদয়, এনামুল হাসান মিয়া এবং কাইয়ুম মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রেজাউল মাতব্বর এবং আউয়াল মোল্লাকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

এ ছাড়া দুলাল মিয়াকে দুটি ধানায় ১০ বছর ও ৭ বছরের কারাদণ্ড; হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মিয়াকে দুটি ধানায় ৭ বছর করে কারাদণ্ড; পাঁচু মিয়াকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং রিকুল ইসলাম ওরফে রবিন শিকদারকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় হাফিজুর রহমান ওরফে তুষার মিয়া, তুহিন মিয়া, শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ মিয়া, কেএম রাজু আহমদ ওরফে কোরবান মিয়া, রবিউল ইসলাম ওরফে মশিউর মিয়া এবং পারভেজ মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে রায়ে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত রওশনের ছেলে গোলাম রসুল বিপ্লব বলেন, এ মামলায় রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই। আমরা খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার মধ্যকাইচাইল মাদ্রাসা মসজিদে নিহত রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যন্যরা আসরের নামায শেষে বের হয়ে মাদ্রাসা মাঠে আসেন। সেখানে পূর্বকল্পিতভাবে আসামি আউয়াল মোল্লা ও হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ অন্য আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আসামি আউয়াল মোল্লার হুকুমে আসামি হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ অন্যান্য আসামিরা তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও শর্টগান দিয়ে উপর্যুপরি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন গোলাম রসুল বিপ্লব, গোলাম মাওলাসহ আরও ৭-৮ জন।

Tags: