muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

শুল্ক আরোপের খবরে রাতারাতি বাড়ল পেঁয়াজের দাম

শুল্ক আরোপের খবরে রাতারাতি বাড়ল পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতে শুল্ক আরোপের খবরে হঠাৎই অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জের একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫-১৮ টাকা। খুচরা মুদির দোকানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৫-৭০ টাকা। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক বহাল থাকবে।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। আগামীতে বেশি দামে বিক্রির আশায় ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে অনেক আড়ত।

চট্রগ্রামের মেসার্স বাচা মিয়া আড়তের ম্যানেজার বলেন, এদিন মানভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) যা ছিল ৪৫ টাকা।

তিনি জানান, স্থলবন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন। খাতুনগঞ্জের আড়তে তা পৌঁছে দেন বেপারিরা। তাদের নির্ধারিত দরে কমিশনের ভিত্তিতে আড়তে বিক্রি হয়।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, নতুন শুল্ক হারযুক্ত ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রাম আসার আগেই দাম বাড়ানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এক আড়তদার বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। প্রতি বস্তায় অনেক পচা-গলা থাকে। এরই মধ্যে হিলিতে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আড়তেও বেড়েছে। এখানে দেশি পেঁয়াজ সামান্য।

মুদি দোকানি আহমদ উল্লাহ বলেন, প্রতি রোববার পাইকারিতে পেঁয়াজ কিনতে খাতুনগঞ্জে আসি। রাতারাতি মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে। আমি কিনলাম ৫৮ টাকায়। বিক্রি করতে হবে ৬৫ টাকায়। অন্যথায় পড়তা পড়বে না।

এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, শুল্ক আরোপের ঘোষণাতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব এমনই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি দামের পণ্য দেশে আসার আগেই দাম বাড়িয়ে দেন তারা। আবার কোনো সময় দাম কমলেও পণ্য এখনো আসেনি বলে দাম কমাতে চান না।

Tags: