ক্রিড়া ডেস্ক:
ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করার সুনাম ধরে রাখলেন জনি বেয়ারস্টো। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে যে ৫ বার পঞ্চাশের ঘরে গেছেন, তার সব কটিকে তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন বেয়ারস্টো। হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এবার শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসের বিখ্যাত অনার্স বোর্ডে।
চলতি বছরটা দুর্দান্ত কাটছে বেয়ারস্টোর। এ বছর ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্টেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি দেখা। গত জানুয়ারিতে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯১ বলে করেছিলেন অপরাজিত ১৫০ রান। ওটাই ছিল তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে যে ৪ বার পঞ্চাশের ঘরে গেছেন, তার সব কটিকে তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে আছে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও।
এপ্রিলে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ইয়র্কশায়ারের হয়ে হাম্পশায়ারের বিপক্ষে করেছিলেন সেই ডাবল সেঞ্চুরিটি। ২৭০ বলে খেলেছিলেন ২৪৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে কাউন্টিতে করেন আরেকটি সেঞ্চুরি। সারের বিপক্ষে সে ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরিও প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯৮ রান করে হয়ে যান।
এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে খেললেন ১৪০ রানের চমৎকার এক ইনিংস। আর সবশেষ লর্ডসে আরেকটি সেঞ্চুরি। শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগে বেয়ারস্টোর দেড়শ পূর্ণ করেছেন, অপরাজিত আছেন ১৫৬ রানে। ফিফটিকে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করতে চলেছেন মনে হয়!
এই ইনিংস খেলেই অবশ্য ৮৫ বছরের অক্ষত এক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বেয়ারস্টোর। লর্ডসে টেস্টে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার নতুন রেকর্ড গড়েছেন। আগের রেকর্ডটি ছিল প্রাক্তন উইকেটরক্ষক লেস অ্যামেসের। ১৯৩১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যামেস করেছিলেন ১৩৭ রান।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ১০-০৬-২০১৬ ইং/মো: হাছিবুর রহমান