muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

মার্কিন দূতাবাসের করা মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার

মার্কিন দূতাবাসের করা মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মার্কিন দূতাবাসের করা মামলায় খুলনা থেকে মো. সামির (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গ্রেপ্তার সামিরের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশের অন্তত ৩০ কিশোরীর দেড় শতাধিক নগ্ন ছবি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ ডিসকর্ডে কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ফাঁদে ফেলে তাদের নগ্ন এসব ছবি সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সামির খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহীর একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ২১ আগস্ট খুলনার বাসা থেকে সামিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের অনুমতিতে তাকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতের নির্দেশে শনিবার সামিরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাইকেল লি গত ২৬ জুলাই গুলশান থানায় একটি জিডি করেন। তাতে অভিযোগ করা হয়, সামির পরিচয়ে বাংলাদেশের এক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে তাকে দিয়ে তার পর্নো ছবি তুলে নিয়ে নিয়েছেন। ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কিশোরীর সঙ্গে সামিরের যোগাযোগ ও সম্পর্ক হয়। পরে তিনি ওই অ্যাপ এবং তার ইমেইলে কিশোরীর তোলা পর্নো ছবি নিয়ে নেন। কিশোরীর মায়ের যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে গুলশান থানায় ওই জিডি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা মাইকেল লি। ডিএমপি কমিশনার সিটিটিসিকে জিডি তদন্তের দায়িত্ব দেন।

জিডির তদন্ত তদারকী কর্মকর্তা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জিডির তদন্ত করতে গিয়ে তারা সামির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পান। পরে ২১ আগস্ট মার্কিন দূতাবাসের লি বাদী হয়ে মো. সামিরকে আসামি করে গুলশান থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এরপর অবস্থান শনাক্ত করে খুলনার সোনাডাঙ্গার বাসা থেকে সামিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, সামির ২০২১ সালে রাজশাহীর একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও করোনার কারণে আর ক্লাস করেননি। সামির সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মা-বাবা তাকে বাইরে কোথাও যেতে দিতেন না। একাকিত্বের কারণে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় এবং বিকৃত মানসিকতা গড়ে ওঠে তার।

Tags: