ইউক্রেনে রাশিয়ার অধিকৃত চার অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাচনের আয়োজন করেছে মস্কো। ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের মধ্যেও মস্কোর কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তা ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। খবর রয়টার্সের।
যে চার অঞ্চলে ভোট হচ্ছে তার কোনোটিই পুরোপুরিভাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে নেই। এই চার অঞ্চল হলো— দোনেস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজিয়া ও খেরসন। গত বছর এ অঞ্চলগুলোকে নিজেদের অংশ বলে ঘোষণা করে রাশিয়া। ২০১৪ সালে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া ক্রিমিয়াসহ এই পাঁচ অঞ্চলের আয়তন ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে দমাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে ইউক্রেন
গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে চার ভাগের তিন ভাগ সদস্য রাষ্ট্রই রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। একে ‘অবৈধ অন্তর্ভুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব নির্বাচন অবৈধ। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে সব সেনাকে প্রত্যাহার না করে নেওয়া পর্যন্ত মস্কোর সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা সম্ভব নয়।
চার অঞ্চলে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মস্কো-সমর্থিত প্রশাসনের জন্য গভর্নর নির্বাচন করা হবে। এই নির্বাচনে গভর্নর প্রার্থীরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুমোদন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নামমাত্র।
২০২২ সালের মে মাসে দোনেৎস্ক অঞ্চলের বন্দরনগরী মারিউপোলের দখল নেয় রাশিয়া। রয়টার্সের প্রতিনিধিরা সেখানে নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে যান। আবাসিক একটি এলাকায় অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
ধীরে ধীরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রাশিয়ার পাসপোর্ট দেখাচ্ছিলেন। এগুলো তাদের মধ্যে নতুন করে বিতরণ করা হয়েছে।
মারিউপোলে ইউক্রেনের নির্বাচিত মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো নির্বাসনে আছেন। ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি পালিয়ে যান।
বোইচেঙ্কো বলেন, এ নির্বাচনে কোনো ভোটার তালিকা নেই, প্রার্থীর তালিকা নেই। তার দাবি, এটি ধোঁকাবাজির নির্বাচন।