সজীব আল হোসাইন, ইতালি প্রতিনিধি : একজন মুসলমান মারা গেলে ইন্নালিল্লাহ এর পরিবর্তে আলহামদুলিল্লাহ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এখন উত্তাল । সম্প্রতি গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে নেটিজেনরা কমেন্টস বক্সে ইন্নালিল্লা না লিখে অনেকেই "আলহামদুলিল্লাহ লিখেছেন।
এর পরদিনই গত ২৮ আগস্ট এসআই জাহাঙ্গীর আলম তার ফেসবুক পেইজে "আলহামদুলিল্লাহ" সংক্রান্তে একটি লেখা পোস্ট করেন। এক দিনে প্রায় একদিনে সাড়ে তিন লক্ষ লোক লেখাটি পড়েন এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ ইতিবাচক কমেন্টস করেন তার লেখা নিয়ে।
শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান সময়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলম একজন পরিচিত মুখ। তার ফেসবুক পেইজে ২১ লক্ষ ফলোয়ার প্রতিদিন তার পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিও দেখে বিভিন্ন বিষয়ের সচেতন হচ্ছে এবং রীতিমত মুগ্ধ । বিশেষ করে অনেক প্রবাসী তাদের স্ত্রী সন্তান বাড়িতে রেখে নানারকম আইনী জটিলতায় ভুগছেন । এসআই জাহাঙ্গীর আলমের সচেতন মূলক বিভিন্ন ভিডিও দেখে তারা সচেতন হচ্ছেন এবং আইন সম্পর্কে অনেক ধারণা পাচ্ছেন । গ্রামের অনেক আইন না জানা মানুষ ফেসবুক- ইউটিউবে তার পোস্ট করা ভিডিও দেখে উপকৃত হচ্ছেন । বিশেষ করে - ওয়ারেন্ট কেন হয়, ওয়ারেন্ট হলে কি করবেন, রিকল কাকে বলে, রিকল কোথায় জমা দিতে হয়, জামিনের পর কি করবেন, মামলায় হাজিরা না দিলে কি হয়, সড়ক কিভাবে নিরাপদ রাখা যায়, জিডি করার সহজ উপায় সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় বুঝিয়ে দেন । এতে করে গ্রামের আইন না জানা প্রান্তিক মানুষ গুলো প্রতিনিয়ত অনেক উপকৃত হচ্ছেন।
এসআই জাহাঙ্গীর তার সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়গুলো সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে থাকেন । এতে করে একটা শ্রেণীর মানুষের কাছে তিনি মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে ক্ষ্যাতি অর্জন করে মনের কোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন । বিট পুলিশিং এর স্লোগান -"বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি,নিরাপদ সমাজ গড়ি। এই স্লোগানকে সামনে রেখে এসআই জাহাঙ্গীর তার দায়িত্বাধীন বিটে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক এবং খন্ড খন্ড সভা সেমিনারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে আসছেন। তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা ধনবাড়ী থানা কর্মরত আছেন । তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা চিলমারী উপজেলায় বলে জানান ।
ফেসবুকে লেখা ও ভিডিও পোস্ট করে মানুষকে সচেতন করার ব্যাপারে এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে প্রশ্ন করা হলে ,তিনি জানান-দেখুন, আমার কাজেই হচ্ছে, দেশ এবং দেশের মানুষের সেবা করা । বর্তমান সময়ে মানুষের সেবা করার একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। আমার কাজের ফাঁকে ৫-৭ মিনিট সময় ব্যয় করে ফেসবুকে একটা ভিডিও পোস্ট করে যদি মানুষের উপকার করা যায়, তাতে তো ক্ষতি নেই।