দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্রত কমছে জন্মহার। কর্মজীবী নারীদের সন্তান গ্রহণে অনাগ্রহের ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন দেশটির কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে কোরীয় নারীদের সন্তান গ্রহণ ও পুনরায় কাজে ফেরার সুযোগ তৈরি করে দিতে বিদেশ থেকে গৃহকর্মী নেয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সিউল সিটি পরিকল্পনা নামে একটি পাইলট কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচির আওতায় ১০০ জন বিদেশি গৃহকর্মী নেবে দেশটি।
সরকারের ধারণা, আশ্রয়দাতা পরিবারের সঙ্গে বসবাসকারী ফুলটাইম গৃহকর্মীদের জন্য বর্তমান বাজারমূল্যে মাসে প্রায় ৩৫ থেকে ৪৫ লাখ ওন বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
গত সপ্তাহে সিউলের মেয়র ওহ সে-হুন এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, বিদেশী গৃহকর্মীরা আমাদের সমাজকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। বিশেষ করে ক্যারিয়ার বিরতির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্য করতে পারে।
অনেক কোরীয় নারী বাড়িতে থাকা এবং সংসার সামলানোর জন্য চাপের মুখোমুখি হন। শিশুর লালন-পালনে উচ্চ ব্যয়ের কারণে সন্তান না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন অনেকে। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটিতে গৃহকর্মে আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এই পাইলট কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে গৃহকর্মীদের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে ফিলিপাইনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কেবল কিছু সংখ্যক বিদেশি, যেমন- কোরীয় নাগরিকদের স্ত্রী এবং জাতিগত কোরীয়রাই দেশটিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার অনুমতি পান।