muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

অবশেষে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন হিথ স্ট্রিক

অবশেষে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন হিথ স্ট্রিক

ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘদিনে লড়াই শেষে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক মারা গেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী নাদিনে স্ট্রিক। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ের সংবাদমাধ্যম হেরাল্ডকে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বাবা ডেনিস।

এর আগে গত মাসের ২৩ আগস্ট স্ট্রিকের মারা যাওয়ার গুঞ্জন শোনা যায়। তবে স্ট্রিকের জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি বেঁচে আছেন। এরপর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আরেকটি পোস্টে নিশ্চিত করেন, ভালো আছেন স্ট্রিক।

সামাজিক যোগাযেগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট লিখে, নিশ্চিত করে জানাচ্ছি, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সাবেক কিংবদন্তি বেঁচে আছেন ও খুবই ভালো আছেন। দেশের খেলায় তার অনন্য অবদান আমরা উদযাপন করি।

যদিও এর আগে একটি পোস্টে ওলোঙ্গা জানান, স্ট্রিকের মৃত্যুর খবরটি গুজব। অথচ এই ওলোঙ্গাই তার প্রথম পোস্টে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়কের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলেন। নতুন পোস্টে ওলোঙ্গা লিখেছিলেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবটি ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত হয়েছে। আমি শুধু তার কাছ থেকে শুনেছি। থার্ড আম্পায়ার তাকে ফেরত ডেকেছেন। তিনি অনেক জীবন্ত মানুষ।

জাতীয় দলের হয়ে ৬৫টি টেস্টের সঙ্গে ১৮৯টি ওয়ানডে খেলা স্ট্রিক ২০০০-২০০৪ সাল এই সময়ে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ছিলেন। দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়া জিম্বাবুয়ের একমাত্র বোলার।

১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হওয়ার পর রাউয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয়টিতে আট উইকেট নিয়ে নিজের আগমন জানান দিয়েছিলেন স্ট্রিক। তার পেসার হিসেবে খ্যাতি থাকলেও ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রেখেছেন। টেস্টে ১৯৯০ ও ওয়ানডেতে করেছেন ২৯৪৩ রান। সাদা পোশাকে তার প্রথম ও একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরিতে হারারেতে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

২০০৫ সালে কাউন্টিতে ওয়ার্কশায়ারের অধিনায়ক হিসেবে দুই বছরের চুক্তি করেন তিনি। যদিও পরে সেটি ব্যক্তিগত কারণে সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। পরে ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইএসএলে) নাম লেখানোর পর তার ক্যারিয়ারের কার্যত ইতি ঘটে।

স্ট্রিক খেলোয়াড়ি জীবনের পর কোচিংয়ে নাম লেখান। জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড, গুজরাট টাইটান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দলগুলোতে কাজ করেন। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে আইসিসি তাকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

Tags: