মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আসন পিরোজপুর-১ এবং সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই দুই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনঃনির্ধারণ করেছেন। আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ। আজকে শুধু এই রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চ বসানো হয়।
এর আগে গত ৩০ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ২ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে ওই দুই আসনের পাঁচ বাসিন্দার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকের্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলা। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। ফলে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা।
পরে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার নাজমুল ইসলাম শরীফ।