muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

নথি দেখে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধে খালেদা জিয়ার আবেদন

নথি দেখে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধে খালেদা জিয়ার আবেদন

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে নথি দেখে দুদকের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাক্ষীরা নথি দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগ এনে আজ সোমবার তার পক্ষে এ আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ চুক্তি’র মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

এর আগে, ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জে করা বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদন খারিজ করেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে।

ওই সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

গত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। পরে গত ১৭ মে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে বিএনপির চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন জানান।

Tags: