৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও কানাডায় ৮৩ কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানিতে দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ দাবি করেন।
এ প্রসিকিউটর দুদকের পক্ষে মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন। এদিন সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী অবশিষ্ট যুক্তিতর্কের জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
পরে ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ মো. নজরুল ইসলাম সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন।
মামলায় কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। শুনানিকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলায় পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতকরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আসামিরা পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।
এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার নথি থেকে দেখা যায়, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি শুধু পি কে হালদারকে আসামি করেই এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ।
মামলাটি তদন্তের পর গত বছরের ২৪ নভেম্বর পিকে হালদারসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।