মারধর, চুরি ও চুরিতে সহায়তা করার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অন্য দুই আসামিরা হলেন মোহাম্মদ বশির ও ইসমাইল হোসেন।
আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লোকমান আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার ও মো. আক্তারুজ্জামান রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁস মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। অবৈধ অনুপ্রবেশ, মারধর, চুরি ও চুরিতে সহায়তা করার অভিযোগে গতকাল বুধবার ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন এস এম মহিবুল্লাহ মহিউদ্দিন।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, মহিবুল্লাহ মহিউদ্দিন সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মেসির ৪৮ ভাগ শেয়ারের মালিক। তিনি দীর্ঘদিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পরে এই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী কিছু ব্যক্তি বাদীর প্রতিষ্ঠান দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার ফখরুলসহ অন্যান্য আসামিরা গত ৯ জুলাই ফখরুলের হুকুমে ফার্মেসির ক্যাশ থেকে ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও ২ কোটি টাকার ঔষধ নিয়ে যান।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় তিনি একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন। মামলায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বর্তমান চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসাকেও আসামি করা হয়।