কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ট্রাকভর্তি বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী সামগ্রী ও শিশুখাদ্য জব্দ করেছে র্যাব। এ সময় ২ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভৈরব শহরের দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের এসব সামগ্রী জব্দ করেছে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন: সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ধরাধর গ্রামের মো. আঙ্গুর মিয়ার ছেলে মো. ফজলু মিয়া (২৬) ও সুনামগঞ্জ জেলা সদরের ওয়েজখালি গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার মামুন মিয়া (১৯)।
র্যাব জানায়, ট্রাকভর্তি চোরাচালানের পণ্য পাচার করা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদ পায় র্যাব। খবর পেয়ে শনিবার সকালে দূর্জয়মোড় এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তারা। এ সময় একটি ট্রাকে তল্লাশি করে ভারতে তৈরি বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী সামগ্রী ও শিশুখাদ্য জব্দ করা হয়।
উদ্ধার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে: ৮০ হাজার ৬০০ পিস কিটকেট চকলেট, ১০৪৪ পিস ভাটিকা হেয়ার ওয়েল, ১০৪৪ পিস ডাবর টুথপেস্ট, ৪৪৬ পিস জুনিয়র হরলিক্স, ১৬২০ পিস ফিয়ামা সাবান, ৩৬০ পিস অলিভ অয়েল, ৪৮ পিস পন্ডস ব্রাইট বিউটি ক্রিম, ৬০ পিস জনসন বেবি হেয়ার অয়েল, ৭২০ পিস জনসন বেবি শ্যাম্পু, ৪,৩২০ পিস নবরত্ন হেয়ার অয়েল, ৯৬০ পিছ ডাবর আমলা হেয়ার অয়েল, ১৩,৬৩২ পিছ ডাব সাবান, ৫২৮ পিস সেভেন অয়েল হেয়ার অয়েল, ৫২৮ পিস বোরো প্লাস ক্রিম, ১১ হাজার ৫২০ পিস কাবেরী মেহেদী, ১১ হাজার ৫২০ পিস মিনি প্যাক শ্যাম্পু, ও ৭৫০ পিস এলোভেরা জেল।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আক্কাছ আলী জানান, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছে বলে স্বীকার করেছে। আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে একইদিন র্যাবের অপর অভিযানে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ১১৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ মো. বাবুল মিয়া নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
আটক মো. বাবুল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে।