কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এখনও ভারতেই আটকা পড়ে আছেন। ফিরতে পারছেন না নিজ দেশে। জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারতে এসেছিলেন । তবে দেশটিতে পৌঁছানোর পর তার প্লেন খারাপ হয়ে যায়। ট্রুডোর সঙ্গে তার প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও আটকে পড়েছেন।
ট্রুডোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আবার বলেছেন, ভারত কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এছাড়া মোদি ও ট্রুডোর মধ্যে বৈঠকও হয়নি। অবশ্য দুজনে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে কিছুক্ষণ কথা বলেন।
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ভারত-সফর এবার খুব একটা মসৃণ হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছেন, কানাডায় ভারত-বিরোধী ‘সন্ত্রাসীদের’ বিক্ষোভ করতে দেয়া হচ্ছে। মোদি এখানে খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভের কথাই বলেন।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা থেকে ব্যাক আপ বিমান আসছে। সেই বিমানে স্পেয়ার পার্টসও আসছে। সেটি দিয়ে বিমান মেরামতের চেষ্টা করা হবে প্লেন মেরামতে অসুবিধা হলে ব্যাক আপ বিমানেই দেশে ফিরবেন তিনি বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে দিল্লির কানাডা দূতাবাসের পক্ষ থেকে ট্রুডোর অফিসের জারি করা একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই বিমানের দেখভাল কানাডার বিমানবাহিনী করে। তারা জানিয়েছে, বিমানে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে, যা রাতারাতি মেরামত করা সম্ভব নয়। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধিদল দিল্লিতে থাকবেন।
ট্রুডোর অফিস বলেছে, খুব তাড়াতাড়ি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরতে পারেন।