রাশিয়ার বেসরকারি আধা-সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাজ্য।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্লামেন্টে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করার পর ওয়াগনারের সব সম্পদ সন্ত্রাসী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য এবং বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনও সংগঠন সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হলে সেটিকে সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০০-এর অধীনে দেশটি ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দিতে পারে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্র্যাভারম্যান বলেন, ওয়াগনার একটি সহিংস ও ধ্বংসাত্মক গোষ্ঠী। ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে তারা। পুতিনের শাসনব্যবস্থা যে দানবকে সৃষ্টি করেছে, সময় এসেছে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা।
তিনি বলেন, ওয়াগনারের অব্যাহত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্যই অব্যাহত রয়েছে। তারা স্পষ্টতই সন্ত্রাসী এবং এই নিষেধাজ্ঞার আদেশটি যুক্তরাজ্যের আইনে তা পরিষ্কার করবে।
আদেশে বলা হয়, ওয়াগনারকে সমর্থন করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। যার মধ্যে রয়েছে গোষ্ঠীটির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সভার আয়োজন, লক্ষ্যগুলোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ এবং ওয়াগনারের পতাকা বা লোগো প্রদর্শন করা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার আধাসামরিক গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একটি প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে। গত জুলাইয়ে ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা প্রিগোশিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় ঢুকে বিদ্রোহ করে কয়েক হাজার সশস্ত্র সদস্য। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক চরম অবনতি হয়। সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি বিমানে ভ্রমণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন প্রিগোশিন। পুতিনের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন পশ্চিমা নেতারা।