প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের জন্য গত বুধবার নিয়োগ বিধিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিধিটি ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০২৩’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এতে বহু কাঙ্ক্ষিত উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের নিয়োগ পদ্ধতিতে ৮০ শতাংশ পদোন্নতি ও ২০ শতাংশ নিয়োগের মাধ্যমে করা হবে। অর্থাৎ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউইও) ৮০ শতাংশ পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ পাবেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকেরা।
প্রজ্ঞাপনের ২৬ নম্বর ক্রমিকের উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের নিয়োগ পদ্ধতিতে ৮০ শতাংশ পদোন্নতি ও ২০ শতাংশ নিয়োগের মাধ্যমে হবে। এটাকে শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য ‘সুখবর’ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার (টিইও) পদে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিইও) পদ থেকে ৮০ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়া হতো। আর ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হতো।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এইউইও) ৮০ শতাংশ পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকেরা। এ পদে সরাসরি নিয়োগ পেতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষকেরা আবেদন করতে পারবেন। তবে এটিইও পদে নিয়োগ পেতে সহকারী শিক্ষকদের ১০ বছর ও প্রধান শিক্ষকদের ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নিয়োগ বিধিমালায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদে নিয়োগ নিয়ে বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে এ পদটি পূরণ হবে। তবে ৮০ শতাংশ পদ বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। আর ২০ শতাংশ পদ উন্মুক্ত প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভাগীয় প্রার্থী বলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বোঝাবে। বিভাগীয় প্রার্থী প্রধান শিক্ষক হলে অনুন্য ৩ বছর এবং সহকারী শিক্ষক হলে অনুন্য ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিভাগীয় প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য কাউকে পাওয়া না গেলে উন্মুক্ত প্রার্থীদের থেকে এ পদ পূরণ করা হবে। এ পদে নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর, তবে বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর পর্যন্ত বয়স শিথিলযোগ্য।
নিয়োগ বিধিমালায় এটিইও পদে নিয়োগের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ’সহ স্নাতকোত্তর বা সমমান ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ’সহ ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। তবে প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএ বা জিপিএ থাকলে তিনি যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।