ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ এবং এডিসি সানজিদা আফরিনের বক্তব্য নিয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব সরকার।
ছাত্রলীগের নেতাদের পেটানোর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হাওয়া এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, হারুনের বিষয়ে আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে যেটা করার, সেটা করেছি। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, তদন্ত হবে। সবগুলোই-তো একটা প্রক্রিয়া। তাৎক্ষণিকভাবে যেটা দরকার ছিল আমরা তাকে সাসপেন্ড করেছি। এখন তদন্ত শুরু হয়ে তার নামে যদি মামলা হয়ে থাকে, সে মামলাগুলোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওইদিন রাতে এডিসি হারুন আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয়।