বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌর এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে রাহিমা খাতুন (১৯) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মায়ের পরকীয়া সইতে না পেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার সকালে পৌরসভার ঢাকুইর মহল্লার ফকিরপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সে রিকশা চালক রেজাউল করিমের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাহিমার বাবা ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তার বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসা-যাওয়া করতো একই গ্রামের ইয়াকুব ফকিরের ছেলে বিল্লাল হোসেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার মা শাবানা বেগম পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই মা-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হতো। মায়ের পরকীয়া সইতে না পেরে ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রাহিমা। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শয়ন ঘরের সিলিং ফ্যানের রডের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শাহ সুলতান হুমায়ুন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।