বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। মূল্য ও নিরাপত্তার ইস্যুসহ এলপিজির নীতিমালা যুগপোযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া আবশ্যক।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্যোগে রোববার আয়োজিত ‘হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, সিলিন্ডার নিয়ম মাফিক ও যথাযথভাবে পরিবহণ, মজুদ ও ব্যবহার করলে সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পায়। একটি টেকসই এলপিজির বাজার প্রতিষ্ঠা এবং এলপিজির বাজার প্রসারে যত্রতত্র রিটেইলারের মাধ্যমে এলপিজির বিক্রি গ্রাহকবান্ধব হওয়া সময়ের দাবি। হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভাল্ব ইত্যাদির দুর্বলতার কারণে সাধারণত গ্যাস লিক হতে পারে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকা আবশ্যক। সিলিন্ডারগুলো নিয়মিতভাবে চেক করাও বাঞ্ছনীয়।
২০০৯ সালে বাংলাদেশের এলপিজির বাজার ছিল মাত্র ৬৫,০০০ টন। বর্তমানে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। বিগত ১৫ বছরে দেশের এলপিজির ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ।
২০০৯ সালে মাত্র ২.৫ লাখ লোক এলপিজি ব্যবহার করত। এখন ব্যবহার করে প্রায় ৪৫ লাখ। এ সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় তিন কোটিরও বেশি মানুষ এলপিজির সুবিধাভোগী। বর্তমানে প্রতিবছর এলপিজির বাজার প্রায় ১০% হারে বাড়ছে।
আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এলপিজির চাহিদা ৩০ লাখ টনে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। তিনি এলপিজির নিরাপদ ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নূরুল আলম, বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান (অব.), ওমেরা পেট্রোলিয়ামের হেড অব হেলথ মু. দাউদুর রহমান খান, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব স্ট্র্যাটেজি ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়া জালাল ও জেএমআই এলপিজির জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বক্তব্য রাখেন।