মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ
কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত কারওয়ানবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘মামা সাগর’ এবং এক মাস আগে কারওয়ান বাজার থেকে অস্ত্রসহ আটক ‘মামা সাগর’ এক ব্যক্তি নন বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলছেন, গত ১৫ মে কারওয়ান বাজারের আম্বর শাহ মসজিদের সামনে থেকে যে মামা সাগরকে র্যাব-২ সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছিল, তার আসল নাম তানভীর আহমেদ।
আর বুধবার গভীর রাতে শেরেবাংলা নগরে যে মামা সাগর র্যাবের গুলিতে নিহত হয়েছে, তার আসল নাম আইদুল।
তারা দুজনই কারওয়ান বাজার,ফার্মগেইট এলাকার সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন বলে র্যাবের ভাষ্য।
বৃহস্পতিবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাত অনুমানিক পৌনে ২টার দিকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর পাশে সংসদ ভবন সচিবালয় স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন খেলার মাঠে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন র্যাব-২ এর একটি টহল দলকে দেখে পালানোর চেষ্টা করে।
“পালানোর সময় তারা গুলি করলে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
র্যাবের বার্তায় আইদুল ওরফে মামা সাগরকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ এবং কারওয়ানবাজারের একজন ‘শীর্ষ চাঁদাবাজ’ বলা হয়।
ঠিক একমাস আগে র্যাব কারওয়ানবাজার থেকে দুই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের খবর দেয়, যাদের একজনের নাম বলা হয় মামা সাগর। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে সেই খবর গত ১৬ মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সেখানে বলা হয়, মামা সাগর রাজধানীর কাওরান বাজার ও ফার্মগেইট এলাকায় ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ চালিয়ে আসছিলেন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী, ছিনতাই, খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
দুটি ঘটনায় র্যাব-২ এর সংশ্লিষ্টতা, নাম এবং তাদের অপরাধের যে বিবরণ র্যাব দিয়েছে. তাতে মিল থাকায় অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এক মাস আগে গ্রেপ্তার মামা সাগরই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন কি না- সেই প্রশ্নও ওঠে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা এক ব্যক্তি নন। মে মাসে গ্রেপ্তার তানভীর আহমেদ ওরফে মামা সাগরকে ওই সময়ই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।”
অবশ্য সেই মামা সাগরকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল, সেই মামলা এখন কী অবস্থায় আছে- সেসব তথ্য দিতে পারেননি এই র্যাব কর্মকর্তা।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার মামা সাগরের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায়।আর নিহত মামা সাগরের বাড়ি গাজীপুরে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তারা দুজনই কারওয়ান বাজার এলাকার সন্ত্রাসী। মূলত এদের নেতা সন্ত্রাসী আশিক।
“আশিকের সহযোগীরা নিজেদের ‘মামা সাগর’ পরিচয় দিয়ে ফোনে ফোনে চাঁদাবাজি করে থাকে। মামা সাগর পরিচয় দিয়ে একাধিক সন্ত্রাসী ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করে।