কিশোরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক লুৎফুর রহমান নয়নসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকাল ৩টার দিকে হামলার শিকার নয়নের সমর্থকরা কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে,ইটনা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বরণ করার জন্য আগে থেকেই বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খানের নেতৃত্বে এক গ্রুপ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ জড়ো হয়।
এ সময় কেন্দ্রীয় দুই নেতা ওই এলাকায় আসার আগেই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক লুৎফুর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়। আহতদের কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করাকে কেন্দ্র করে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আনোয়ার হোসেন মোল্লার সুমনকে সভাপতি, ফয়েজ ওমান খানকে সাধারণ সম্পাদক ও লুৎফুর রহমান নয়নকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩ সদস্যের কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করা হয়নি।