বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে খুলনায় ধর্মঘট স্থগিত করেছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। রোববার দিনভর ধর্মঘট চলাকালে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
এর আগে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রোববার ভোর ৬টা থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ করে দেন জ্বালানি তেল পরিবেশকরা।
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন জানান, দাবি আদায়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। বিপিসি থেকে দু-একদিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সঠিক গেজেট প্রকাশ এবং তা কার্যকর করা হবে। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। সোমবার সকাল থেকে তিনটি ডিপো থেকে যথারীতি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ শুরু করা হবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ এবং অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বাড়ানোর দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তারা। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রল বিক্রিতে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ২ টাকা এবং ডিজেলে ২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবেন। এর আগে ডিজেলের ২ শতাংশ, পেট্রলের ৩ শতাংশ এবং অকটেনের ৪ শতাংশ কমিশন ছিল।