muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন কোভিড টিকার দুই গবেষক

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন কোভিড টিকার দুই গবেষক

২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রু উইসম্যান। কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেলেন তারা।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় সোমবার (২ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।

ঘোষণার আগে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।

নোবেল পুরস্কার কমিটি বলেছে, বর্তমান সময়ে মানবস্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বড় হুমকির সময় এই দুই পুরস্কার বিজয়ী টিকা তৈরির ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকম অবদান রেখেছেন।

ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসিলভানিয়ায় প্রথম একত্রে কাজ করতে শুরু করেন।

মর্ডানা ও ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনার টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি। প্রথাগত টিকাগুলো রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মৃত বা দুর্বল অংশ দিয়ে তৈরি। এর বিপরীত এক ধারায় এমআরএনএ প্রযুক্তিতে টিকা তৈরি হয়।

ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান ২০০৫ সালে তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। নোবেল কমিটি বলেছে, এভাবেই তারা করোনার টিকার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিলেন।

এ বছর ২ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে নোবেল বিজয়ীদের নাম। এর মধ্যে আজ (সোমবার) জানা গেল চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে, বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।

১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে । তারপর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন এই খাতে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল জিতেছেন। এই নোবেলজয়ীদের মধ্যে ১২ জন নারী। এই শাখায় নোবেলজয়ীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানীর নাম ফ্রেডরিখ জি. ব্যান্টিং। ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসার জন্য অতি জরুরি উপকরণ ইনসুলিনের আবিষ্কারের সুবাদে ১৯২৩ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে নোবেল জেতেন ব্যান্টিং।

আর সবচেয়ে বেশি বয়সে এই শাখায় নোবেলজয়ীর নাম পিটন রাউস। দেহে টিউমার সৃষ্টিকারী ভাইরাস শনাক্তের সুবাদে ১৯৬৬ সালে যখন পিটন নোবেল পুরস্কার জয় করেন, সে সময় তার বয়স ৮৭ বছর।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

Tags: