রাতভর টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তা ও বসত বাড়ি। ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। শহরের পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ নাগরিকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরের নগুয়া, বত্রিশ, গাইটাল, হারুয়া, উকিলপাড়া, হয়বতনগর, কাটিকাটা, শোলাকিয়াসহ প্রায় সব এলাকায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমেছে। এসব এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। এতে বিপাকে পড়েছেন সেসব এলাকার বাসিন্দারা।
উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমরুল হাসান জানান, আমি আমার বয়সে এমন অতিভারী বৃষ্টি দেখিনি। গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো থাকলে হয়তো পানি দ্রুত নিষ্কাশন সম্ভব হতো।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকার নতুন ড্রেন তৈরিসহ নানাবিধ কার্যক্রম চলমান। আশা করি এসব কাজ শেষ হলে পৌরবাসী এর সুফল ভোগ করবে। তাছাড়া ভারী বৃষ্টির কারণে যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে পৌরসভার কর্মীরা কাজ করছে।
একই সাথে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কানিকাটা এলাকায় তলিয়ে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার রেললাইন। এতে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কানিকাটা বিল এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার রেললাইন পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ৩৭ আপ একটি মেইল ট্রেন কানিকাটায় আটকে আছে। অপর দিক থেকে ৩৭ ডাউন মেইল ট্রেনটি ময়মনসিংহের নান্দাইল স্টেশনে আটকে আছে।
কিশোরগঞ্জ রেললাইনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. রেজাউল করিম বলেন, গতকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টির কারণে কানিকাটা বিলপাড় এলাকার রেললাইনের কিছু অংশ প্রায় ১৯ ইঞ্চি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যে কারণে দুটি মেইল ট্রেন দুই পাশে আটকে আছে। তবে এখন বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি কিছুটা নামছে। আশা করছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন ছাড়া যাবে।