muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ঈদ যতো এগিয়ে আসছে, ততোই জমে উঠছে ঈদের বাজার

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ

ঈদ মানেই খুশি। মুসলমানদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সবার মধ্যে থাকে নানা আয়োজনের পরিকল্পনা। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরা আর মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি এদিন বিশেষ গুরুত্ব পায় নতুন পোশাক। নতুন পোশাকই যেন ঈদের পূর্ণতা। তাই রোজার শুরুতেই অনেকে শুরু করেছেন ঈদের কেনাকাটা।

 

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে বিক্রি তেমন ভালো ছিল না। তবে ঈদ যতো এগিয়ে আসছে, ততোই জমে উঠছে ঈদের বাজার।

 

রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন পোশাকের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলগুলো। গত ১০ দিনের চেয়ে এদিন বিক্রি অনেকে বেশি। তাই বিক্রেতারাও অনেক খুশি।

 

এবারের ঈদের বাজারে তরুণীদের জন্য রয়েছে- ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, সিনথেটিক ফ্রক। রাজধানীর নিউমার্কেটের চাঁদনীচকে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়।

 

পাশাপাশি ঈদে তরুণীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে, বজরঙ্গি ভাইজান, বাজিরাও মাস্তানি, সারারা প্রভৃতি ভারতীয় পোশাক। বসুন্ধরা শপিংমলে এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায়।

বিকেল সাড়ে ৪টা। বসুন্ধরা শপিংমলের সিড়িতে বসে আছেন অনেকে। সবার হাতেই ব্যাগ। কারো হাতে দুটি-পাঁচটি, আবার কারো হতে আটটি-দশটি শপিং ব্যাগ। শপিং করে ক্লান্ত তারা। এখন বাসায় ফেরার অপেক্ষা। গাড়ি আসলেই বাসায় ফিরে ইফতার করবেন।

 

বিক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদে দেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। ঈদের আগের দিনগুলোতে ব্যবসা আরো জমে উঠবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।

ক্রেতাদের কয়েকজন জানান, মার্কেটজুড়ে দেশি-বিদেশি নানান ডিজাইনের পোশাক থাকায় পছন্দ করে কেনা যাচ্ছে। এরমধ্যে বিদেশি পোশাকের প্রাধান্য বেশি। তবে অনেকে আছেন যারা, ঈদের জন্য দেশি বুটিকস, সুতি কাপড়কে বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকে মানসম্মত পোশাক পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।

 

বসুন্ধরা শপিংমলের লেভেল-৩ এর অনামিকা লেডিস ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী সানী আলম জানান, এবারের ঈদ বাজারে দেশি কাপড়ের তুলনায় বিদেশি কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি বুটিকসের কাপড়ও কিনছেন অনেকে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বিক্রি ভালো। তাই তার মনটাও ভালো।

তিনি আরো জানান, গত কয়েক দিনে বিক্রি ভালো না হওয়া দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু আজ একটু হালে পানি পেয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে বিক্রি ভালো হবে বলে তিনি আশাবদী।

 

স্টাইল গার্লসের সত্ত্বাধিকারী খোরশেদ আলম জানান, বাজিরাও মাস্তানি, বজরঙ্গি ভাইজান এবং সারারা নামের ভারতীয় পোশাক ক্রেতারা বেশি কিনছেন।

 

তিনি আরো জানান, বাজিরাও মাস্তানি পোশাক পাঁচ পিস, তিন পিস ও এক পিসের হয়। এক পিসেরগুলো গাউনের মতো। পাঁচ পিসের এ পোশাক লেহেঙ্গা বা সালোয়ার-কামিজ- দুভাবেই পরা যায়। এ কারণে ক্রেতাদের এ পোশাক বেশি পছন্দ।

 

এ সময় বাজিরাও মাস্তানি কেনার জন্য এক শিশুকে কান্নাকটি করতে দেখো গেছে। কিন্তু অবিভাবক তা কিনে দিতে নারাজ।

 

সাভার থেকে আসা শিউলি আক্তার বলেন, সন্তানদের জন্য জিন্সের প্যান্ট, টি শার্ট কিনেছি। এখন নিজের জন্য দেখছি। নিশ্চয়ই দেশি কাপড় কিনব।

 

অপর এক ক্রেতা মানসম্মত পোশাক না পাওয়ার অভিযোগ করেন। লুৎফর রহমান নামের ওই ক্রেতা বলেন, এখনো বাজারে মনসম্মত কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না। মানের তুলনায় বিক্রেতারা দাম অনেক বেশি নিচ্ছেন।

 

Tags: