হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) সোহেল রানার সাজার রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাওয়ার তিন ঘণ্টা পর আপিলের শর্তে একই বেঞ্চ থেকে ৩০ দিনের জামিন পান মো. সোহেল রানা।
এরপর বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ পান বিচারক মো. সোহেল রানা। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার পর এই স্থগিতাদেশ দেন।
এদিকে, কুমিল্লার একটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারক সোহেল রানা হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে বিচার কাজ চালিয়ে যান। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন ওই মামলার আসামি মামুন। সেই অভিযোগ শুনানিতে প্রমাণিত হয়। বিচারক সোহেল রানা এ ব্যাপারে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। কিন্তু আদালত তাকে ক্ষমা না করে শাস্তি দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায়।
শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, একটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ৫৬১ (এ) দ্বারা ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন আদালত।
পরবর্তীতে এ আদেশের কপি কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার কাছে যায়। তিনি হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে বিচার কাজ চালিয়ে যান। এটি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য। এই আদেশ অমান্যের কারণে তাকে সাজা দেওয়া হল।
বর্তমানে সোহেল রানা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।