অনেকেই দিনে রাতে সমানতালে ঘুমিয়ে থাকেন। রাতে বেশ ভালো ঘুমিয়েছেন। সকালে উঠে প্রতিদিনের কাজ সেরে অফিসেও গেছেন। কাজে বসেই ফের চোখ ঢুলছে।
গোটা কতক বড় বড় হাইও তুলে ফেলেছেন। খানিকক্ষণ ঠিকঠাক। ফের একই অবস্থা। একটা বালিশ পেলে তো কথাই নেই। যদি সত্যিই এমনটা হয় তাহলে সাবধান হোন। এমন অভ্যাস শরীরে মরণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
সম্প্রতি আমেরিকার পেন স্টেট কলেজ অফ মেডিসিনের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দিনে অত্যাধিক ঘুম পাওয়ার অর্থ হলো শরীরে দু’টি রোগ বাসা বাঁধার আগাম পূর্বাভাস। ওবিসিটি এবং ডায়াবেটিস।
সঙ্গে এটাও জানা গেছে, অতিরিক্ত ডিপ্রেশন থেকেও এমনটা হতে পারে। পরে এটাই ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। যদি রাতে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরও সকালে উঠে নাস্তা খেয়েই ফের ঘুম পায় তাহলে এটাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় এক্সেসিভ ডেটাইম স্লিপিনেস বা EDS।
কলেজের অধ্যাপক জুলিও ফার্নান্দেজ মেনডোসা জানাচ্ছেন, যদি এমনটা হয় তাহলে দেরি না করে ওজন কমানোর দিকে নজর দেয়া উচিত। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, যদি ওজন তেমন বেশি না হয় তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
এমনিতে একটা চলতি ধারণা রয়েছে, রাতে ভালো ঘুম না হলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও দীর্ঘক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায়। সময়-অসময়ে ঘুমও পায়। তবে সব সময় এমনটা হলে চিন্তার বিষয়।
সে ক্ষেত্রে চিকিত্সকরা আরো একটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তারা জানান, যাদের ওজন বেশি বা ওবিসিটির পর্যায় পৌঁছে গেছে, তাদের ঘাড়ের পেছনে অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে উইন্ড পাইপে শোয়ার সময় চাপ পড়ে। এতে রাতে বহুবারই তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তার সঙ্গে শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও বাড়তে থাকে।
তারা জানান, তাই দিনের বেলায়ও ভীষণ ঘুম পেতে পারে। তার সঙ্গে শরীরেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। তেমনই ডিপ্রেশনে ভোগা কোনো ব্যক্তিও ঠিক করে ঘুমোতে পারেন না। কারণ একটা চিন্তা নিয়ে শোয়ার ফলে ব্রেন সজাগ থাকে। ঘুম পেতেও বেশ দেরি হয়। এই অনিদ্রা থেকেই দেখা দেয় নানা সমস্যা।