কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নরসুন্দা নদী। মৃতপ্রায় নদীটির পাশে বসতি গড়েছে হরিজন পল্লী (বাস্পর)। এ পল্লীর স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চোলাই মদ তৈরি করে আসছিল। মঙ্গবার (১৭ অক্টোবর) হরিজন পল্লীতে অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় চোলাই মদ তৈরির বিপুল পরিমাণ তরল কাঁচামাল ও সরঞ্জামসহ ১০০০ (এক হাজার) লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করিমগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, করিমগঞ্জ পৌর সদরে হরিজন পল্লীতে (মেথর পট্টি) দীর্ঘদিন ধরে মদ তৈরি করে আসছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার বিকালের দিকে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ২১টি ডেকচি, ৩৫ কেজি ওজনের ১৫টি গ্যাসের সিলিন্ডার ও চোলাই মদ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
অভিযানে আটককৃতরা হচ্ছে, তাড়াইল উপজেলার নগর কুল গ্রামের মৃত অশ্বিনী চন্দ্র সরকারের ছেলে রিপন চন্দ্র সরকার (৩৬), একই উপজেলার চর তালজাঙ্গা গ্রামের মো. রাজু মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় মিয়া (১৮) ও করিমগঞ্জের মধ্যপাড়া এলাকার মো. বকুল মিয়ার ছেলে মো. রিদয় মিয়া (২১)।
জানতে চাইলে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রিয়াদ শাহেদ রনি বলেন, চোলাই মদে শতকরা ৯৫ ভাগ মিথাইল অ্যালকোহল থাকে। এ কারণে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এ মদ পান করেন, তাঁদের লিভার সিরোসিস হতে পারে। এ ছাড়া কিডনি সমস্যা, এমনকি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অবৈধ মদ বিক্রির খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ হরিজন পল্লী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।