ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় শ্বশুর -শাশুড়িকে শায়েস্তা করার জন্য শ্যালককে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় আটক হয় ভগ্নিপতি সজিব মিয়া(২৮)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগরের একটি বিকাশের দোকান থেকে অপহৃত শিশু আবু সাঈদকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত অপহরণকারী সজিব মিয়াকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত সজিব নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার দয়াগাঁও গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।
আটককৃত সজিব মিয়া বলেন, চার বছর আগে আমি বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে আমার স্ত্রী আমার অগোচরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরকীয়া করে। আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালেও তারা কোনো বিচার করে না। উল্টা আমাকে বকাবকি করেন। তারপর আমি চিন্তা করি তাদের একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার। তাদের সন্তানকে অপহরণ করব। ফলে বুঝতে পারবে নিজের ছেলে বুকে না থাকলে কেমন লাগে।সজিব মিয়া আরো বলেন, আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি তাদের কাছে এক হাজার টাকা পাঠাতে বলেছিলাম। মুক্তিপণ চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
শিশু আবু সাঈদের বাবা সোলমান মিয়া বলেন, সামাজিকভাবে সম্পর্ক শেষ করে চার মাস আগে আমার মেয়েকে তার কাছ থেকে নিয়ে আসি। এরপর মেয়েকে ফুসলিয়ে আবার নিয়ে যায় সজীব। কিছুদিন আগে মেয়েকে মারধর করে নাতনিকে রেখে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমরা পুলিশ নিয়ে নাতনিকে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে আমার ছেলেকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য আখাউড়া রাধানগরের একটি বিকাশ নম্বর দেন সজিব মিযা। পুলিশ ওই বিকাশের দোকানে অবস্থান নিয়ে অপহরণকারীকে আটক করে। এ সময় অপহৃত শিশুটি উদ্ধার হয়।