বিনোদন ডেস্কঃ প্রেম কোনো বাধা মানে না। তাঁরকাটার বাধন ছিঁড়েও চলে যায় নিষিদ্ধ সীমানায়। তোয়াক্কা করে না কোনো শাস্তির, তা সাধারণ মানুষ থেকে সব স্তরের মানুষের মধ্যে এই হৃদয় ঘটিত বিষয় ঘটে থাকে।
এমন ঘটনা শোবিজ অঙ্গনে অহরহই দেখা যায়। বলিউডে চোখ রাখলেই তার অনেক উদাহরণ মিলে। বলিউড তারকাদের মধ্যে নানা রকম অসম সম্পর্ক দেখা যায়। তার মধ্যে রয়েছে বয়সের ব্যবধানে প্রেম। শুধু প্রেম নয়, তা গড়ায় বিয়ে পর্যন্তও। বলিউডের এমন দম্পতি রয়েছেন, যাদের স্ত্রী স্বামীর চেয় বয়সে বড়। বলিউডের এমন ৬ জুটি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
ফারাহ খান-শিরিষ কুন্দার : বলিউডের জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার, অভিনেত্রী, পরিচালক ফারাহ খান। একসঙ্গে কাজ করতে করতেই ভালো লাগা তৈরি হয় শিরিষ কুন্দার ও ফারাহ খানের। পরবর্তীতে সে সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। ফারাহ খান শিরিষ কুন্দার চেয়ে বয়সে ৮ বছরের বড়। কিন্তু সে বয়স বাধা হয়ে দাড়ায়নি এ জুটির। সব কিছুকে পেছনে ফেলে ২০০৪ সালে গাঁটছড়া বাধেন তারা। তারপর থেকে নিজেদের কাজ আর সংসার নিয়ে দিব্যি ভালো আছেন এই জুটি।
অভিষেক বচ্চন–ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন : অভিষেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে প্রেমে মজেছিলেন সালমান খান ও বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে। কিন্তু সর্বশেষ অভিষেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বরিয়া। প্রেমিক অভিষেক বচ্চনের চেয়ে দুই বছরের বড় বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া। তবে বয়স কোনো বাধা হয়ে দাড়ায়নি। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে এসেছে আরাধ্যা নামে একটি কন্যাসন্তান। বেশ সুখেই দিনাতিপাত করছেন এই জুটি।
অর্জুন রামপাল-মেহের রামপাল : বলিউড অভিনেতা অর্জুন রামপাল। মডেলিং করতে গিয়েই পরিচয় ঘটে বলিউড অভিনেত্রী মেহের রামপালের সঙ্গে। তারপর ভালো লাগা ভালো বাসা। এই ভালোবাসার লুকোচুরি খুব বেশিদিন করেননি তারা। মাত্র দুই বছর প্রেম করে ১৯৯৮ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই জুটি। মেহের অর্জুনের চেয়ে দুই বছরের বড়। ২০১৫ সালের দিকে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছিল। পরবর্তীতে যদিও তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়।
ফারহান আখতার–অধুনা : বলিউডের মাল্টি ট্যালেন্ট হিসেবেই পরিচিত ফারহান আখতার। অভিনয়, গান, পরিচালক কোন বিশেষণ তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়? সিনেমার শুটিং সেটে অধুনা আখতারের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় ফারহান আখতারের। তারপর দীর্ঘ ৩ বছর প্রেম করেন এই জুটি। ফারহান আখতার অধুনার চেয়ে বয়সে ৭ বছরের ছোট হলেও ২০০০ সালে প্রেমের সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দেন তারা। বিয়ের পর তাদের সংসার সুখেই কাটছে। তাদের সংসারে দুই কন্যাসন্তানও রয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এই জুটির।
সাইফ আলি খান-অমৃতা সিং : নবাব পুত্র সাইফ আলি খান। ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে প্রেমে মজেছিলেন তার চেয়ে বয়সে ১৩ বছরের বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে। ১৯৯১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। কিন্তু ২০০০ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে সাইফ-অমৃতার। সাইফ তারপর প্রেমে মজেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে। ২০১২ সালে কারিনাকে বিয়ে করে সংসারে থিতু হয়েছেন সাইফ।
সোহা আলি-কুনাল খেমু : ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের ‘৯৯’ সিনেমায় কুনাল ও সোহা একসঙ্গে কাজ করেন। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন তারা। নবাব পরিবারের এই কন্যার চেয়ে বয়সে ৪ বছরের ছোট কুনাল খেমু। অবশেষে ২০১৫ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন এই জুটি। এখন বেশ আনন্দেই দিন কাটছে এই দম্পতির।