রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউকিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে। নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউরেনিয়ামের গাড়ি বহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে।
ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালানের গাড়ি বহর ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালে প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গাড়িগুলোকে স্বাগত জানান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো আনার সময় মহাসড়কে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয় ছিল।
নিরাপত্তার জন্য ভোর থেকে সংশ্লিষ্ট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ইউরেনিয়াম পৌঁছার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার স্যানাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালানটি সড়কপথে রূপপুরে আনা হয়েছে। গাড়িটি ঢাকা থেকে আসার সময় ভোর ৫টা থেকে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ইউরেনিয়ামের চালান প্রকল্পের মধ্যে ঢোকার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালানটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আমদানি করা পারমাণবিক এ জ্বালানি সড়ক পথে নেয়া হয় রূপপুরে।
এদিকে, পর্যায়ক্রমে আরও দুটি চালান দেশে আসবে। সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে এক বছর নিরবচ্ছিন্ন ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
এর আগে, ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে আসে গত ২৮ সেপ্টেম্বর। এটি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে পৌঁছায় ২৯ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় চালান বাংলাদেশে আসে ৫ অক্টোবর, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে পৌঁছায় ৬ অক্টোবর, তৃতীয় চালান দেশে আসে ১১ অক্টোবর, রূপপুরে পৌঁছায় ১২ অক্টোবর। চতুর্থ চালান দেশে আসে ১৯ অক্টোবর, রূপপুরে পৌঁছায় ২০ অক্টোবর।