muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

বাংলাদেশকে ‘গঙ্গা’য় ডুবাল নেদারল্যান্ড

বাংলাদেশকে ‘গঙ্গা’য় ডুবাল নেদারল্যান্ড

কাগজে-কলমে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তবুও টানা হারের পর ক্লান্ত সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পাওয়ার। ডাচদের বিপক্ষে জয় না পাওয়ার কোন কারণও ছিল না বাংলাদেশের। সব দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও টাইগার সমর্থকদের সব আশা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। টানা চার হারে প্রায় ডুবতে থাকা বাংলাদেশের তরী শেষ পর্যন্ত ডুবে গেল কলকাতার গঙ্গায়, ডাচদের ধাক্কায়। স্কট এডওয়ার্ডসের দলকে ২২৯ রানে আটকে দিলেও সাকিব আল হাসান, লিটন দাসদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হারল ৮৭ রানে। তাতে করে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া টাইগারদের থামতে হচ্ছে গ্রুপ পর্বেই।

এর আগে এক দিনের ক্রিকেটে দুই দলের দেখা হয় দুই বার। যেখানে উভয় দল জয় পায় একটি করে। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এবারই প্রথম ডাচদের বিপক্ষে টাইগারদের দেখা। সেখানেই বাজিমত করলেন স্কট এডওয়ার্ডসের দল। সাকিব-লিটনদের বিপক্ষে বিশ্ব মঞ্চে প্রথম দেখায় জয় তুলে নেন ডাচরা।

স্কট এডওয়ার্ডসদের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। প্রথম চার ওভার দেখে শুনে খেললেও বিপদ আসে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। আরিয়ান দত্তের বলে স্কট এডওয়ার্ডস হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটন। আউট হয়ে যাবার আগে ১২ বলে মাত্র ৩ রান করেন।

আর এরপরেই সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। দলীয় ১৯ রানে ফন বিককে পুল করতে গিয়ে লিটনের মতোই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। প্যাভিলিয়নের যাবার আগে ১৬ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাতে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপর উইকেটে আসা নাজমুল শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামল দেবার চেষ্টা করে টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত দারুণ ছন্দে থাকা শান্ত বিশ্বকাপে আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না। ছয়টি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেলেও কোনো ম্যাচেই নিজের জাত চেনাতে পারলেন না শান্ত। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচেও সেই ধারা অব্যাহত। দলীয় ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আউটের আগে করেন ১৮ বলে মাত্র ৯ রান।

শান্ত আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আউট হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তিনি ৫ রানে বিদায় নেন। ৭০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে রিয়াদ ও শেখ মেহেদীর ব্যাটে কিছুতা প্রতিরোধ গড়লেও জয়ের জন্য যথেস্ট ছিলো না। দলীয় ১১৪ রানের মধ্যে রিয়াদ ২০ ও মেহেদী ১৭ করে বিদায় নিলে বাংলাদেশের জন্য সেই বিপদ আরও বাড়ে।

শেষ দিকে মুস্তাফিজের ২০ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বল হাতে রেখেই ১৪২ রানে অলআউট হয় সাকিবরা। ডাচদের হয়ে বল হাতে পল ফন মিকেরেন নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট।

Tags: