খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন কানাডার রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন কেভিন ডুগ্গান ও লয়েড স্কুইপ।
তারা বলেছেন, বাংলাদেশে গ্যাসক্ষেত্রে কাজ পেতে নাইকো রিসোর্স লিমিটেড ঘুষ লেনদেন করেছে। ঘুষের অর্থ কানাডা থেকে বারবাডোজ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান তাদের সাক্ষ্য নেন।
প্রথমে সাক্ষ্য দেন লয়েড স্কুইপ। তাকে আসামিপক্ষ জেরা করার পর সাক্ষ্য দেন কেভিন ডুগান। তাকে জেরা শুরু হওয়ার পর আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার আবার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
লয়েড স্কুইপ বলেন, কানাডার তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি নাইকোতে তৎকালীন সরকারের কিছু কর্মকর্তা দুর্নীতি করতে ইন্ধন জোগায়। আমরা এ দুর্নীতির বিষয়ে জানতে পারি গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে। নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার দায়ে নাইকো রিসোর্সেস কানাডায় দুর্নীতির দায়ে সাজপ্রাপ্তও হয়েছে।
এরপরে লয়েড স্কুইপকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। অন্যজনকে আগামীকাল জেরা করা হবে।
গত ১৯ অক্টোবর তাদের সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করেন ঢাকার বিশেষ আদালত। গত ২৮ অক্টোবর রাতে আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় আসেন তারা। রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
উল্লেখ্য, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে খালেদা জিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।